মডিউল ৪ - খ্রীষ্টতত্ব (Module 4 - Christology)

যীশুর মানবত্ব:

মডিউল ৪ - খ্রীষ্টতত্ব (Module 4 - Christology)

মথি রচিত সুসমাচারে (মথি ১৬ অধ্যায়), যীশু তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। তাঁরা তখন কৈসরিয়ার ফিলিপী নামক এক শহরে ছিলেন, যা ইস্রায়েলের বাইরের একটি এলাকা। সেখানেই যীশু মথি ১৬:১৩-তে একটি সাধারণ প্রশ্ন করেন: “লোকেরা কী বলে মনুষ্যপুত্রকে কে?” অর্থাৎ, যীশু জানতে চান, মানুষ তাঁকে কে বলে মনে করছে—তাঁর পরিচয় সম্পর্কে অন্যরা কী বলছে। ১৪ নম্বর পদে শিষ্যরা উত্তর দেন—কেউ বলে আপনি বাপ্তিস্মদাতা যোহন, কেউ বলে এলিয়, আবার কেউ বলেন যিরমিয় অথবা অন্য কোনো ভাববাদী। এই অংশটি যীশুর পরিচয় নিয়ে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে শেখায়—তিনি কে এবং কেন তাঁর পরিচয় জানা আমাদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ।

যীশুর মানবত্ব:

আমরা যখন যীশুর ঈশ্বরত্ব নিয়ে আলোচনা করেছিলাম, তখন দেখেছিলাম, বাইবেলের অসংখ্য স্থানে যীশুকে সম্পূর্ণ ঈশ্বর হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখন যখন আমরা যীশুর মানবত্ব নিয়ে ভাবছি, তখনও ঠিক তেমনি অসংখ্য স্থানে আমরা যীশুর প্রকৃত ও পরিপূর্ণ মানব রূপে প্রকাশ দেখতে পাই। বাইবেল অস্পষ্ট নয়—এটি অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে আমাদের সামনে যীশুর মানবত্ব তুলে ধরে। এই বিষয়টি একদম অব্যর্থভাবে, মাঝে মাঝে চমকপ্রদ উপায়ে, ঘোষণা করে যে যীশু সম্পূর্ণভাবে ও নিখুঁতভাবে মানুষ। আমরা প্রায়ই একটি শব্দ শুনি—“ইনকারনেসন”। এই শব্দটির অর্থই হল —যীশুর “দেহধারণ” করেছেন। কারণ এই শব্দটি লাতিন ভাষা থেকে এসেছে, যার মানে “মাংস” বা “শরীর”। অর্থাৎ যীশু বাস্তব শরীর নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন। তিনি মানব স্বভাবকে নিজের মধ্যে পুরোপুরি গ্রহণ করেছিলেন—তাঁর মানবত্ব ছিল নিখুঁত। সোজা ভাষায়, যীশু ছিলেন সম্পূর্ণ মানুষ।

My Notes

Login or Register to be able to save your progress, take notes, and more!