মথি রচিত সুসমাচারে (মথি ১৬ অধ্যায়), যীশু তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। তাঁরা তখন কৈসরিয়ার ফিলিপী নামক এক শহরে ছিলেন, যা ইস্রায়েলের বাইরের একটি এলাকা। সেখানেই যীশু মথি ১৬:১৩-তে একটি সাধারণ প্রশ্ন করেন: “লোকেরা কী বলে মনুষ্যপুত্রকে কে?” অর্থাৎ, যীশু জানতে চান, মানুষ তাঁকে কে বলে মনে করছে—তাঁর পরিচয় সম্পর্কে অন্যরা কী বলছে। ১৪ নম্বর পদে শিষ্যরা উত্তর দেন—কেউ বলে আপনি বাপ্তিস্মদাতা যোহন, কেউ বলে এলিয়, আবার কেউ বলেন যিরমিয় অথবা অন্য কোনো ভাববাদী। এই অংশটি যীশুর পরিচয় নিয়ে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে শেখায়—তিনি কে এবং কেন তাঁর পরিচয় জানা আমাদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ।
গত কয়েকটি পাঠে আমরা শিখেছি, যীশু খ্রীষ্টের রয়েছে একটি মানব প্রকৃতি—একটি সত্যিকার শরীর ও একটি যুক্তিসম্পন্ন আত্মা—যা তিনি দেহধারণের সময় নিজের মধ্যে গ্রহণ করেছিলেন। আমরা এটিও শিখেছি যে, যীশুর একটি ঐশ্বরিক প্রকৃতিও রয়েছে—তিনি চিরন্তন ঈশ্বর, ত্রিত্ব ঈশ্বরের দ্বিতীয় ব্যক্তি। এখন, যখন আমরা এই দুই প্রকৃতি—মানব ও ঈশ্বরত্ব—বুঝে নিয়েছি, তখন এই পাঠে আমরা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বাইবেলীয় শিক্ষা শিখবো, যাকে বলা হয়: হাইপোস্ট্যাটিক ইউনিয়ন। এটি হল সেই সত্য, যে যীশু খ্রীষ্ট একজন ব্যক্তি, যিনি একইসাথে দুই প্রকৃতিতে বিদ্যমান—ঈশ্বরত্ব ও মানবত্বে, কিন্তু এক ও অবিচ্ছেদ্য ব্যক্তি হিসেবে চিরকাল বিদ্যমান থাকেন। তিনি হলেন ঈশ্বর-মানব—সম্পূর্ণ ঈশ্বর ও সম্পূর্ণ মানুষ, একই ব্যক্তিত্বে।
Instructor