এস্কেটলজি হল শেষকালীন বিষয় বা ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত শিক্ষা। এটি ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টিপাত করে এবং বাইবেলের শিক্ষার ভিত্তিতে দেখায় ভবিষ্যতে কী কী ঘটবে। কিছু মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে কল্পনায় বিভোর হয়ে পড়ে এবং অবাস্তব অনুমানে চলে যায়। কিন্তু প্রকৃত ঈশতত্ত্ব সবসময় সংযত ও পরিমিত হওয়া উচিত—এবং কেবল সেই বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত, যা ঈশ্বর স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যদ্বাণী ব্যাখ্যা করার সময় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ ভবিষ্যদ্বাণী ব্যাখ্যা করা প্রায়শই খুবই জটিল। যখন খ্রীষ্ট প্রথমবার এই পৃথিবীতে এলেন, তখন প্রায় সকলেই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল। ইহুদিরা যদিও পুরনো নিয়মে অনেক সুন্দর ও বিশদ ভবিষ্যদ্বাণী পেয়েছিল, তারা নিজেদের মনমতো একটি প্রত্যাশা গড়ে তুলেছিল, কিন্তু বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। একজন লেখক বলেছিলেন—যখন খ্রীষ্ট প্রথমবার এলেন, তখন সবাই ভুল করেছিল। ঠিক তেমনই, যখন খ্রীষ্ট আবার ফিরে আসবেন, অনেকের ভবিষ্যৎ ব্যাখ্যা তখনও ভুল প্রমাণিত হবে-এমনকি এই বিষয়ক সেরা বইগুলোও কিছু না কিছু ভুল প্রমাণিত হবে।
এখন আমরা আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ ঈশতত্ত্বের শেষ অংশে এসে পৌঁছেছি। এই অংশে থাকবে এস্কাটলজির ওপর দশটি পাঠ। এস্কাটলজির অর্থ “শেষ বিষয়ের শিক্ষা”। এটি ভবিষ্যতের দিকে তাকায় এবং বাইবেলের শিক্ষা অনুযায়ী দেখায় ভবিষ্যতে কী ঘটবে। অনেকে ভবিষ্যৎ নিয়ে কল্পনায় ভেসে যায়, কিন্তু আমাদের ঈশতত্ত্ব হওয়া উচিত সংযত, যুক্তিসম্মত ও বাইবেল-ভিত্তিক। ঈশ্বর যা পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করেছেন।